পদার্থ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

5/5 - (1 vote)

পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি– এই বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। চাকরির পরীক্ষা অথবা একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে হরহামেশাই করা হয়ে থাকে এই প্রশ্নটি। আর বর্তমানে যেহেতু অনলাইন মাধ্যম সব কিছু জানা শোনার একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকে প্রশ্ন করেন– পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করুন। 

কেউ কেউ আবার পদার্থের বৈশিষ্ট্য, পদার্থের অবস্থা, পদার্থের গঠন এবং পদার্থের উদাহরণ সম্পর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নও করে থাকেন। মূলত ঐ সকল পাঠক বন্ধুদের কথা চিন্তা করেই আজকের নিবন্ধে আমরা আলোচনা করতে চলেছি “পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি” এ বিষয়ে খুঁটিনাটি। 

পদার্থ কাকে বলে

পদার্থ কাকে বলে, পদার্থ কত প্রকার ও কি কি, পদার্থের বৈশিষ্ট্য,

পদার্থ হচ্ছে যার নির্দিষ্ট ভর এবং আয়তন আছে এছাড়াও জায়গা দখল করে। পদার্থকে যদি আপনি সংজ্ঞায়িত করতে চান সেক্ষেত্রে বলা যায়– যে সকল বস্তুর ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে বল প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে তাদেরকে পদার্থ বলে। 

আমরা যদি আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করি তাহলে সচরাচর যে জিনিসগুলো দেখতে পাই তার প্রত্যেকটাই এক একটি পদার্থ। কেননা পৃথিবীতে যেকোন বস্তুই পদার্থ দ্বারা গঠিত হয়। তাই যদি কখনো আপনার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে এক কথা বলে ফেলবেন– পদার্থ হল এমন বস্তু যার ওজন আছে এবং আয়তন দপ্তর করে। 

তবে হ্যাঁ, পরিমাণের উপর ভিত্তি করে পদার্থ তার নিজের স্থান দখল করে। আরে জন্য কখনো কখনো একই পদার্থের আকার অথবা আয়তন থাকতে পারে কিংবা নাও থাকতে পারে। এটা যখন আপনি প্রকারভেদ সম্পর্কে জানবেন তখন বিষয়টা স্পষ্ট হবে। সাধারণত আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার প্রত্যেকটাই পদার্থ। 

পদার্থ কত প্রকার ও কি কি

পদার্থ কাকে বলে, পদার্থ কত প্রকার ও কি কি, পদার্থের বৈশিষ্ট্য,

গঠনভেদে এবং অবস্থান ভেদে পদার্থ আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত। আর তাই আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় পদার্থ গঠনভেদে কত প্রকার, তাহলে এক কথায় উত্তর দেবেন গঠন ভেদে পদার্থ দুই প্রকার। যথা –

  • মৌলিক পদার্থ 
  • যৌগিক পদার্থ 

মৌলিক পদার্থ

যে সকল পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ খুঁজে পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। আবার এটাও বলা যায় যেসব পদার্থকে সম্পূর্ণরূপে বিভাজন বা পৃথক করার পর শুধুমাত্র ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ অবশিষ্ট থাকে না তাদেরকে মৌলিক পদার্থ বলে। 

মৌলিক পদার্থের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে– এই পদার্থগুলো নিজেই মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সাধারণ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এগুলোর গঠন ভেঙে ফেলা সম্ভব হয় না। এছাড়াও মৌলিক পদার্থের মৌলিক বৈশিষ্ট্য তাদের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয় না এমনকি মৌলিক পদার্থের মৌলিক কণাগুলো একে অপরের সাথে মিশে বাধা থাকলেও তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। 

আপনাকে যদি বলা হয় মৌলিক পদার্থের উদাহরণ গুলো উল্লেখ করুন তাহলে সাজেস্ট করতে পারেন– কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন এভং হিলিয়াম। 

যৌগিক পদার্থ

যে সকল পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের বিভক্ত করার পর দুইবার ততদিক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থের রূপান্তরিত হয় তাদেরকে যৌগিক পদার্থ বলে। অতএব পদার্থকে বিভাজন বা পৃথক করার পর ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া গেলে তাদেরকে যৌগিক পদার্থ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

উদাহরণ হিসেবে আপনি বলতে পারেন পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড হচ্ছে যৌগিক পদার্থের অন্তর্ভুক্ত পদার্থ। 

এই পদার্থ গুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে– যৌগিক পদার্থের একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক সূত্র থাকে যা তার মৌলিক উপাদানের অনুপাত প্রকাশ করে। যেমন পানি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড। আর হ্যাঁ যৌগিক কথাটার বৈশিষ্ট্য অবশ্যই মৌলিক উপাদানের বৈশিষ্ট্য থেকে আলাদা হয়। উদাহরণস্বরূপ- সোডিয়াম (Na) এবং ক্লোরিন (Cl) উভয়ই খুবই বিপজ্জনক, কিন্তু যৌগিক পদার্থ সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) সাধারণভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং নিরাপদ।

এছাড়াও যৌগিক পদার্থ কঠিন তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকতে পারে আর অনেক সময় যৌগিক পদার্থের আকার ও আয়তন থাকে না। এমনকি যৌগিক পদার্থ গঠনের জন্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে কেননা এই বিক্রিয়া দ্বারা মৌলিক পদার্থ একে অপরের সাথে যুক্ত হয়। একইভাবে যৌগিক পদার্থকে মৌলিক উপাদানে বিভাজিত করতে রাসায়নিক প্রক্রিয়া দরকার হয়। যেমন ধরুন পানি ইলেকট্রোলাইসিসের মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন বিবর্জিত হতে পারে। এছাড়াও আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যৌগিক পদার্থের বিভিন্ন ধরনের যোগ্য থাকে যেমন এসিড, লবণ বেস ইত্যাদি। 

এখন জানার বিষয়, অবস্থান ভেদে পদার্থ কত প্রকার ও কি কি? অবস্থান ভেদে পদার্থ মূলত চার প্রকার। মানে পদার্থ চারটি অবস্থানে বিরাজ করতে পারে। সেগুলো হলো –

  • কঠিন পদার্থ 
  • তরল পদার্থ 
  • বায়বীয় পদার্থ এবং 
  • প্লাজমা 

কঠিন পদার্থ

যে সকল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে সেই সাথে অনুপ পরমাণু গুলো খুব ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকে তাকে কঠিন পদার্থ বলা হয়। এছাড়াও বলতে পারেন কঠিন পদার্থ এমন একটি পদার্থ যার নির্দিষ্ট আকার এবং নির্দিষ্ট ভলিউম এ সীমাবদ্ধ। এটি একটি নির্দিষ্ট আকারে স্থিত থাকে এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে সাথে এর আকার পরিবর্তন হয় না।

কঠিন পদার্থের অনু বা পরমাণু একে অপরের সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে যার কারণে একটি দৃঢ় এবং আয়তনে সংকুচিত থাকে।  কঠিন পদার্থের উদাহরণ হচ্ছে– 

  • ইট 
  • পাথর 
  • কাঠ 
  • লোহা 
  • প্লাস্টিক সহপ্রভৃতি। 

 তরল পদার্থ

যে সকল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট কোন আকার নেই এবং ওই পদার্থের অনুপরমাণু গুলো একে অপরের সাথে অল্প দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম তারাই হল তরল পদার্থ। এছাড়াও বলা যায় তরল পদার্থ হল সে সকল পদার্থ যা ধারাবাহিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে এবং যারা নিজস্ব আকার ধারণ করতে পারে না কিন্তু নির্দিষ্ট একটি ভলিউম ধারণ করতে পারে। 

এছাড়াও তরল পদার্থের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট আয়তন থাকে কিন্তু আকার পরিবর্তন করতে পারে যখন এটি একটি কন্টেইনারের আকার অনুযায়ী প্রভাবিত হয়। উদাহরণ হিসেবে তরল পদার্থ হিসেবে আপনি যাদের নাম নিতে পারেন সেগুলো হলো–

  • পানি 
  • তেল 
  • দুধ 
  • বিভিন্ন ড্রিংকস 

বায়বীয় পদার্থ

যে সকল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন কোনটাই নেই এবং ওই পদার্থের অনুপরমানু সমূহ একে অপরের সাথে অনেক দূরত্ব বজায় রেখে চলে তারাই হচ্ছে বায়বীয় পদার্থ।

অতএব বায়বীয় পদার্থ এমন পদার্থ যা বায়ুমণ্ডল গ্যাসের মত অবস্থায় থাকে এবং সহজে বিস্তৃত হতে পারে। এগুলো সাধারণত কোন নির্দিষ্ট আকার ধারণ করে না এবং তারা সহজেই পরিমাপযোগ্য নয়। উদাহরণ গুলো হলো–

  • বাতাস 
  • অক্সিজেন 
  • কার্বন ডাই অক্সাই 
  • হিলিয়াম 
  • পানির বাষ্প ইত্যাদি ।

প্লাজমা

পদার্থের যে গ্যাসীয় অবস্থাতে সমান সংখ্যক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন বহন করে আয়নিত হয় তখন তাকে প্লাজমা বলে। এই প্লাজমা হল একটি বিশেষ ধরনের পদার্থের অবস্থা, যা তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি হলে দেখা দেয়। হ্যাঁ এটি গ্যাসের মত কিন্তু এতে একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকে। 

বলতে পারেন প্লাজোমায় পারমানবিক কণা ও ইলেকট্রনের মিশ্রণ থাকে যার ফলে এটি বৈদ্যুতিকভাবে আননির্ভর ও আয়নিত হতে পারে। প্লাজমার কিছু উদাহরণ হলো –

  • বজ্রপাত 
  • নিউক্লিয়ার বোমায় উৎপন্ন আগুন 
  • সূর্য এবং অন্যান্য তারা 
  • নিয়ন লাইটস 
  • বৈদ্যুতিক আর্কস সহ প্রভৃতি। 

পদার্থের অবস্থা | পদার্থ কি কি অবস্থানে থাকতে পারে

পদার্থ সাধারণত তিন অবস্থায় থাকতে পারে। সেগুলো হলো –

  • কঠিন 
  • তরল 
  • বায়বীয় বা গ্যাসীয় 

যখন পদার্থ নির্দিষ্ট আকার আয়তন এবং দৃঢ়তা বজায় রেখে অবস্থান করে তখন সেটা কঠিন পদার্থের অন্তর্ভুক্ত।

অন্যদিকে যখন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট আকার ধারণ করে চলতে পারে না তখন তাকে তরল পদার্থ বলা হয় অন্যদিকে যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন কোনটাই নেই তখন তাকে বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থের অবস্থা বলে গণ্য করা হয়। 

পদার্থের বৈশিষ্ট্য

পদার্থ কাকে বলে, পদার্থ কত প্রকার ও কি কি, পদার্থের বৈশিষ্ট্য,

পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ভৌত অন্যটির রাসায়নিক। তো আপনি যদি পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো জানতে চান তাহলে ভৌত বৈশিষ্ট্য এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য গুলো আলাদা আলাদা ভাবে দেখে নিন।

📌 আরো পড়ুন 👇

এছাড়াও আমরা আলোচনার এ পর্যায়ে পদার্থের অবস্থান উপর ভিত্তি করে বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করব। মানে কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি, তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি এবং বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি সে সম্পর্কে। 

পদার্থের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য

পদার্থের কিছু রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে পদার্থের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:

  • এ ধরনের পদার্থ অম্লীয় বা ক্ষারীয় প্রকৃতির 
  • এরা পদার্থের অক্সিজেনের সাথে প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতা রাখে 
  • পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া করার ক্ষমতা রয়েছে 
  • এই পদার্থগুলো অন্যান্য রাসায়নিক উনার সাথে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম। 

পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্য

পদার্থের মধ্যে কিছু লিস্ট লক্ষ্য করা যায়।  নিম্নে পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করা হলো:

  • পদার্থের বর্ণ, যা চোখ তারা দেখা যায় 
  • পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বর্ণ যা নাকে ধরা যায় 
  • পদার্থের স্বাদ মুখের মাধ্যমে অনুভব করা যায় 
  • পদার্থের ভর এবং আয়তনের অনুপাত রয়েছে এবং এই পদার্থ কঠিন তরল ও বায়বীয় আকারে অবস্থান করে। 

কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য

কঠিন পদার্থের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করা হলো:

  • কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন রয়েছে 
  • এই পদার্থের ভর বা ওজনও রয়েছে 
  • এতে তাপ দিলে তরল পদার্থের প্রসারিত হয় এমনকি বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করতে সক্ষম 
  • এই পদার্থের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি 
  • কঠিন পদার্থ কোন কোন অবস্থাতে থাকলে সেটাকে তাপ দিলে সরাসরি বায়বীয় পদার্থের পরিণত হতে পারে। যেমন ন্যাপথলিন। 

তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য

তরল পদার্থের কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করা হলো:

  • তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু এর নির্দিষ্ট কোন আকার নেই 
  • এই পদার্থের ভর এবং ওজন রয়েছে 
  • একে তাপ দিলে সরাসরি বায়বীয় পদার্থের প্রসারিত হয় 
  • এই পদার্থ যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করতে সক্ষম 
  • আন্তঃআণবিক আকর্ষণ কঠিন পদার্থের তুলনায় অনেক কম। 

বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য

বায়বীয় পদার্থের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :

  • এই পদার্থের নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন কোনটাই নেই, তবে ওজন রয়েছে
  • বায়বীয় পদার্থের অনুসমূহের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ খুবই কম 
  • একে ঠান্ডা করলে তরল পদার্থের পরিণত করা সম্ভব হয়।  

পদার্থ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর

বিজারক পদার্থ কি?

রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় যে পদার্থ অন্য পদার্থ কে বিজারিত করে নিজে জারিত হয় তাই হলো বিজারক পদার্থ। 

উভধর্মী পদার্থ কাকে বলে?

যেসব পদার্থ একই সাথে ধাতব এবং অধাতব উভয়ের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে সক্ষম তাদেরকে উভধর্মী পদার্থ বলা হয়। যেমন বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা বা অর্ধপরিবাহিতা। 

তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে? 

যে সকল পদার্থ হতে তেজস্ক্রিয় রষ্ণী নির্গত হয় তাকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারেন ইউরেনিয়াম রেডিয়াম হচ্ছে তেজস্ক্রিয় পদার্থের অন্তর্ভুক্ত।

চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে? 

যা চম্বকীয় ক্ষেত্রে উপস্থিতিতে চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে। যেমন প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ, ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থ। 

কঠিন তরল ও বায়বীয় পদার্থ কাকে বলে? 

ইতোমধ্যে আমরা কঠিন তরল ও বায়বীয় পদার্থকে সংজ্ঞায়িত করে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই পুনরায় আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। 

পদার্থ সম্পর্কে আমাদের মতামত

আজকের আর্টিকেলে পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এবং তার বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সত্যি বলতে এই আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে– পদার্থ এমন একটি বিষয়, যা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। এটি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং প্রতিটি প্রকারের পদার্থের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং গঠন পদ্ধতি রয়েছে। 

বিশুদ্ধ পদার্থগুলো রাসায়নিকভাবে সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়, যখন অবিশুদ্ধ পদার্থগুলো তাদের উপাদানগুলোর ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নে পদার্থের এই বিভিন্ন ধরন নিয়ে গভীর গবেষণা এবং আলোচনা রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পদার্থ সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Sharing is Caring

Leave a Comment