উদ্ভিদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

5/5 - (1 vote)

আমরা আমাদের চারপাশে প্রতিদিন নানা রকমের উদ্ভিদ দেখতে পাই। আমরা জানি যে উদ্ভিদের উদাহরণ গুলো কি কি? কিন্তু যখন প্রশ্ন করা হয় “উদ্ভিদ কাকে বলে” তখন এর সঠিক এবং পারফেক্ট সংজ্ঞা দিতে হিমশিম খেতে হয় অনেকেরই।

এ-কারণেই আজ আমরা উদ্ভিদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি, উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য এবং উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করবো। তো আপনি যদি উদ্ভিদের সংজ্ঞা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চান এবং উদ্ভিদকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবগত হতে চান, তাহলে পড়ে নিতে পারেন আমাদের আজকের আর্টিকেল। 

উদ্ভিদ কাকে বলে

উদ্ভিদ কাকে বলে, উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি, উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য,

উদ্ভিদ হলো জীবের একটি প্রধান শ্রেণী, যা পৃথিবীতে প্রাণীর সাথে সহাবস্থান করে থাকে। উদ্ভিদ জীবরা সাধারণত সবুজ রঙের হয়, কারণ তাদের কোষে ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে। 

আর এই ক্লোরোফিল সূর্যের আলো ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ (photosynthesis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে খাদ্য তৈরি করে। অতএব এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়– যারা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরি করে তারাই হচ্ছে উদ্ভিদ। 

আবার এটাকে যদি আপনি আরেকটু সুন্দরভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চান তাহলে এভাবে বলতে পারেন– উদ্ভিদ বলতে বোঝায় সাধারণত ওই প্রাণীগুলোকে যারা মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে এবং একই স্থানে সারা জীবন থাকে, মানে স্থান পরিবর্তন করতে পারে না চলাচল করতে পারে না অথচ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম। 

অতএব, যাদের মূল, কাণ্ড এবং পাতা রয়েছে, যারা সূর্যালোক থেকে শক্তি নিয়ে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজস্ব খাদ্য তৈরি করে এবং সর্বদা স্থির জীবন যাপন করে তাদেরকে উদ্ভিদ বলা হয়। এছাড়াও বলা যায়– বহুজাতিক বহুকোষী সবুজ জীবই হলো উদ্ভিদ। 

তবে হ্যাঁ, সবুজ পাতা ছাড়াও এমন বেশ কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলোর রং আলাদা রকম হয়ে থাকে। এজন্য কেউ কেউ আবার উদ্ভিদকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করে। যেমন – বহুকোষী স্বপসী এবং যারা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুত করতে সক্ষম তারাই হলো উদ্ভিদ। 

উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি

উদ্ভিদ কাকে বলে, উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি, উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য,

উদ্ভিদের মূলত বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। তাই আপনাকে যদি বলা হয় উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি তাহলে এর সাথে কিছু ক্ষেত্র যুক্ত করে দিতে হবে। কেননা, প্রথমত উদ্ভিদ রাজ্যকে ফুল এবং ফলের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো –

  • সপুষ্পক উদ্ভিদ 
  • অপুষ্পক উদ্ভিদ 

একইভাবে উদ্ভিদকে আবার আরো দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন–

  • উচ্চতর উদ্ভিদ 
  • নীচল উদ্ভিদ 

এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ রয়েছে। সেগুলো হলো–

  • ভেষজ উদ্ভিদ 
  • গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ 
  • আবৃতজীবী উদ্ভিদ ইত্যাদি ইত্যাদি। 

এখন আসুন বোঝার সুবিধার্থে আমরা অপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে, সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে এবং এই দুই ধরনের উদ্ভিদের মধ্যে মূলত কোন কোন উদ্ভিদগুলো অবস্থান করছে এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানি। 

১. সপুষ্পক উদ্ভিদ

ফুল এবং ফল হয় এজাতীয় উদ্ভিদকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলা হয়। অর্থাৎ সপুষ্পক উদ্ভিদ হচ্ছে ঐ সকল উদ্ভিদ যাদের ফুল থাকে এবং যারা বেজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণত এই উদ্যোগগুলো দুইটি ভাগে বিভক্ত। যথা –

  • ব্যক্তজীবী উদ্ভিদ এবং 
  • গুপ্তজীবী উদ্ভিদ 

২. ব্যক্তজীবী উদ্ভিদ

 ব্যক্তজীবী উদ্ভিদ এর অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদগুলোর বীজ সর্বদা উন্মুক্ত থাকে অর্থাৎ তাদের কোন ফলের মধ্যে বেদ সংরক্ষিত থাকে না। এজন্য বলা হয় যেসব উদ্ভিদের বীজ ফল দ্বারা আবৃত থাকে না তাদেরকে ব্যক্তজীবী উদ্ভিদ বলে।

উদাহরণ হিসেবে যেসকল উদ্ভিদ গুলোর নাম বলা যেতে পারে সেগুলো হলো – জুনিপার, সাইকাস, পাইনাস।

৩. গুপ্তজীবী উদ্ভিদ

যেসব উদ্ভিদের বীজগুলো ফলের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে অর্থাৎ ফুল ধারণ করে সেগুলো হচ্ছে গুপ্তজীবী উদ্ভিদ।

তাই আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় গুপ্তজীবী উদ্ভিদ কাকে বলে?

তাহলে এক কথায় বলতে পারেন, যেসব উদ্ভিদের বীজ ফল দ্বারা আবৃত তাকে গুপ্তজীবী উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ স্বরূপ যেসব উদ্ভিদের নাম নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো- মটরশুঁটি, ধান, গম। 

৪. অপুষ্পক উদ্ভিদ

যেসব উদ্ভিদের ফুল হয় না এবং যাদের প্রজনন হয় স্পোরের মাধ্যমে মূলত ঐ সকল উদ্ভিদ কে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। মানে ফুল ও ফল হয় না এমন উদ্ভিদী হচ্ছে অপুষ্পক উদ্ভিদের অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। সেগুলো হচ্ছে–

  • মসজাতীয় উদ্ভিদ 
  • ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ এবং 
  • সমাঙ্গ দেহী উদ্ভিদ 

৫. মসজাতীয় উদ্ভিদ

মসজাতীয় উদ্ভিদ হলো এক ধরনের সপুষ্পকহীন উদ্ভিদ, যা সাধারণত আর্দ্র এবং ছায়াময় পরিবেশে জন্মায়। এই উদ্ভিদগুলো বেশিরভাগ সময়ে মাটির উপর, পাথরের উপর, বা অন্য কোনো সমতল স্থানে জন্মাতে দেখা যায়। 

মসজাতীয় উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড এবং পাতার মতো গঠন থাকে, তবে এগুললো পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয় না। এরা সাধারণত ১-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং খুব ছোট আকারের হয়।

মসজাতীয় উদ্ভিদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এদের প্রজনন প্রক্রিয়াতে স্পোর ব্যবহৃত হয়, যা তাদের সপুষ্পক উদ্ভিদ থেকে আলাদা করে। মসজাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ হচ্ছে– Pellia, Raccia.

৬. ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ

অপুষ্পক উদ্ভিদগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ হচ্ছে ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ। বলা হয়ে থাকে যে সব উদ্ভিদ ফুল বা বীজ উৎপন্ন করে না তারা অপুষ্পক উদ্ভিদ।

আর ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা বংশবিস্তার করে স্পোর এর মাধ্যমে, সাধারণত ছায়া পরিবেশ, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা কিংবা বন জঙ্গল ঝোপঝাড় বা পাহাড়ে এলাকায় জন্মায়। ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ হচ্ছে– বস্টন, ক্রিটান, মইডেনহেয়ার, বার্ডস ননেস্ট ফার্নসহ প্রভৃতি।

৭. সমাঙ্গ দেহি উদ্ভিদ

যে সকল উদ্ভিদের দেহ অত্যন্ত সরল প্রকৃতির এবং দেহের অংশগুলো বিশেষভাবে বিভক্ত নয় এ জাতীয় উদ্ভিদকে সমাঙ্গ দেহী উদ্ভিদ বলা হয়। এজাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ হচ্ছে শৈবাল, কাইয়া, লিভারওয়ারটস বিভিন্ন ছত্রাক সহ প্রভৃতি। 

আর হ্যাঁ, ইতিমধ্যে আমরা উদ্ভিদের যে সকল প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করলাম এর পাশাপাশি বীজপত্রের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আবার গুপ্তজীবী উদ্ভিদকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। তার একটি হচ্ছে একবীজপত্রী উদ্ভিদ, অন্যটি হচ্ছে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। 

একবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ হচ্ছে– ধান গম ভুট্টা। অতএব যেসকল উদ্ভিদের বীজ শুধুমাত্র একটি বীজ থেকে উৎপন্ন হয় সেগুলো একবীজপত্রী উদ্ভিদ। অন্যদিকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ হচ্ছে আম, ছোলা বুট, মটর সহ প্রভৃতি। অর্থাৎ যে সকল উদ্ভিদের বীজে দুইটি বীজপত্র থাকে তারা হচ্ছে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। 

অন্যদিকে ভেষজ উদ্ভিদ হচ্ছে ওই সকল উদ্ভিদ যেগুলোর কাণ্ড শাখা, ফুল বীজ ফল ইত্যাদি সবকিছু ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এজাতীয় উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে অহরহ দেখা যায় এমনকি আমরা সবাই কমবেশি চিনি। যদি আপনি চিনে থাকেন তাহলে আপনার জানা মতে কয়েকটি ভেষজ উদ্ভিদের নাম কমেন্ট সেকশনে উল্লেখ করতে পারেন। 

অন্যদিকে যে সকল উদ্ভিদের বীজ ফলের ভেতরে আবৃত থাকে ওইসব উদ্ভিদকে আবৃতবিজি উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নারিকেল ধান গম। অন্যদিকে যে সকল উদ্ভিদের উচ্চতা সাধারণত দুই থেকে আট মিটার পর্যন্ত হয় এবং একাধিক শাখা প্রশাখা থাকে সে সাথে গোড়া থেকে বেশ কিছু কান্ড বের হয় এ জাতীয় উদ্ভিদকে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বলে। যেমন– ধনিয়া পাতার গাছ, পুদিনা পাতার গাছ, গোলাপ বেলি সহপ্রভৃতি।

উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য

উদ্ভিদ কাকে বলে, উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি, উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য,

উদ্ভিদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এটা জানার পর আপনার উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন। আর তাছাড়াও এ ধরনের প্রশ্ন মূলত অ্যাকাডেমিক লাইফে এসে থাকে। যাইহোক উদ্ভিদের মধ্যে সাধারণত নিম্ন বর্ণিত বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে ওঠে যথা–

  • এরা সর্বদা ক্লোরোফেল নামক সবুজ রঞ্জক পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে ফলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়। 
  • উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি। 
  • উদ্ভিদ সর্বদা সুগন্ধি পুষ্প ফল বেজ অথবা স্টেম এর মাধ্যমে তাদের বংশবিস্তার করতে পারে 
  • উদ্ভিদ এর নির্দিষ্ট একটি বৃদ্ধির হার ও পদ্ধতি থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে তারা আকারে বড় হয়। 
  • পরিবেশের সাথে অভিযোজনের সক্ষমতা থাকে উদ্ভিদের এছাড়াও এরা পানি এবং পুষ্টি গ্রহণ করে শিকড়ের মাধ্যমে। 
  • উদ্ভিদে শ্বাসক্রিয়া চলমান থাকে মানে উদ্ভিদ শ্বাসক্রিয়া করে অর্থাৎ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। 
  • উদ্ভিদ কখনোই নাড়াচাড়া করতে পারে না তবে তাদের কিছু অংশ আলোর দিকে বাঁকানো থাকে এবং শিকড় মাটির দিকে যাবে এমন ধর্ম অনুসরণ করে। 

উদ্ভিদের গুরুত্ব | উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তা 

উদ্ভিদের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা এক কথায় অপরিসীম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে উদ্ভিদ দুর্দান্ত ভূমিকা রাখে। এছাড়াও অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য সরবরাহ, ওষুধ উৎপাদনে সুবিধা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ভূমিকা রাখা, বাসস্থান সরবরাহ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোশান্তি বিস্তারে সর্বোত্তম ভূমিকা রাখে উদ্ভিদ প্রজাতি।

📌 আরো পড়ুন 👇

সব দিক বিবেচনা করে আপনি নিঃসন্দেহে এটা বলতে পারবেন উদ্ভিদ আমাদের পৃথিবীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। যাদের ছাড়া এই পৃথিবী ঠিকঠাক ভাবে তার কার্য প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে না। আর এ কারণেই উদ্ভিদের সুরক্ষা এবং সঠিক যত্ন নেওয়া আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব।

উদ্ভিদ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর

পৃথিবীতে প্রথম উদ্ভিদ কোনটি? 

এই নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার পর বিবেচনা করা হয় কয়েক কোষী শ্যাওলা হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম উদ্ভিদ। কেননা এটা জানা গিয়েছে প্রায় 100 কোটি বছর আগে শ্যাওলা থেকে বৃহত্তর উদ্ভিদজগতের উৎপত্তি ঘটেছে। আর পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ তৈরি হয়েছে যেমন বৃক্ষ গুল্ম লতা মস অথবা ফার্ন।

উদ্ভিদের কয়টি অংশ ও কি কি? 

উদ্ভিদের প্রধান অংশ হচ্ছে তিনটি। সেগুলো হলো: পাতা, কান্ড এবং মূল অর্থাৎ শিকড়।

বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে?

সবুজ এবং কোমল ডালপালা যুক্ত উদ্ভিদকে বিরুৎ উদ্ভিদ বলে। এই উদ্ভিদগুলো সাধারণত ছোট কাঠবিহীন উদ্ভিদ হয়ে থাকে।

উদ্ভিদের ভূমিকা বর্ণনা কর?

উদ্ভিদ জীব বৈচিত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদ সাধারণত তার কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান।

উদ্ভিদ সম্পর্কে আমাদের মতামত

তো পাঠক বন্ধুরা, উদ্ভিদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পর বুঝতে পারছেন উদ্ভিদ আমাদের জীবনে ঠিক কতটুকু জায়গা দখল করে আছে এবং এটা এই পৃথিবীর জন্য কতটা উপকারী আর তাই আসুন পরিবেশ রক্ষার্থে জলবায়ুর ভারসাম্যতা বজায় রাখতে আমরা নিয়মিত উদ্ভিদের যত্ন নেই এবং অযথা গাছপালা কাটা থেকে বিরত থাকে। 

উদ্ভিদ জীবনচক্রের বেশিরভাগ সময় স্থলভাগে বা পানিতে স্থির অবস্থায় কাটায়, এবং তারা সাধারণত শেকড়, কান্ড, পাতা, ফুল এবং ফল নিয়ে গঠিত।

উদ্ভিদ সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Sharing is Caring

Leave a Comment