খাদ্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

4.3/5 - (3 votes)

খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। এটি শুধুমাত্র শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এমনটা নয়, বরং আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যক ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ক্ষুধা নিবারণ করে। আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি মূলত এর মাধ্যমেই শরীরে প্রয়োজনীয় সকল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেলস এবং অন্যান্য পুষ্টি গুনাগুন এর ঘাটতি পূরণ হয়। 

যাইহোক, প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে অথবা চাকরি পরীক্ষায় অনেক সময় এ প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে যে, খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি? এছাড়াও এটি মূলত সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। তাই আজকের এই নিবন্ধে আমরা পাঠক বন্ধুদের কথা চিন্তা করে আলোচনা করতে চলেছি , খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি সেই সাথে খাদ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে। তাহলে আসুন জেনে নেই– “খাদ্য কি” এ-সম্পর্কে খুঁটিনাটি। 

খাদ্য কি | খাদ্য কাকে বলে

খাদ্য কাকে বলে, খাদ্য কত প্রকার ও কি কি,

খাদ্য হলো এমন আহার্য বস্তু বা পদার্থ, যেটা আমরা খেয়ে থাকি এবং যা খাওয়ার ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটে, শক্তির উৎপাদিত হয় এবং দেহের সকল ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। 

আর এটাকে যদি আপনি সহজ কথায় বলেন তাহলে এটা বলতে পারেন– যে পদার্থ খেলে আমাদের শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সকল ধরনের কার্যপ্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলমান থাকে মূলত সেটাই হচ্ছে খাদ্য। 

খাদ্যের সংজ্ঞা এবং ধারণা | খাদ্য বলতে কি বুঝায়

যে দেশে শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে খাদ্য। ইতিমধ্যে আমরা এটা বলেছি– যে আহার্য বস্তু খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হয় মূলত সেটাই হচ্ছে খাদ্য। অনেকেই আবার খাদ্যের সংজ্ঞা আলাদা আলাদা ভাবে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন করে লিখে সার্চ করেন যে– খাদ্যের সংজ্ঞা এবং ধারণা বর্ণনা করুন। 

আপনি চাইলে খাদ্যকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন। যেমন – যা দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি সহায়ক এবং তাপ শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে সেসব আহার্য সামগ্রীই হচ্ছে খাদ্য। 

আবার এটাও বলতে পারেন– দেহবৃদ্ধি এবং দেহের উপাদান সুরক্ষার জন্য আমরা যে আহার্য বস্তু খেয়ে থাকি তাই হলো খাদ্য। এছাড়াও খাদ্যকে আরো বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। যথা – খাদ্য হলো এমন এক ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে। অতএব শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং শারীরিক বিকাশের জন্য আমরা যে আহার্য পদার্থ খেয়ে থাকি তাই হচ্ছে খাদ্য। 

এমনকি এটাও বলা যায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদানের সংমিশ্রণ হল খাদ্য। যাতে রয়েছে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট চর্বি ভিটামিন মিনারেলসহ প্রভৃতি যা আমাদের শরীরের জন্য সকল পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়ক। তো বন্ধুরা, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন খাদ্য কি, খাদ্য কাকে বলে এবং খাদ্য বলতে এক্সাক্টলি কি বোঝায়! এখন জানুন খাদ্যের প্রকারভেদ এবং খাদ্যে বিদ্যমান উপাদান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত।

খাদ্যের প্রকারভেদ | খাদ্য কত প্রকার ও কি কি

খাদ্য কাকে বলে, খাদ্য কত প্রকার ও কি কি,

খাদ্যপ্রধানত দুই প্রকার। যথা –

  • দেহ সংরক্ষক খাদ্য এবং 
  • দেহ পরিপোষক খাদ্য 

দেহ সংরক্ষক খাদ্য কাকে বলে– দেহ সংরক্ষক খাদ্য হলো এমন খাদ্য– যা দেহের বৃদ্ধি, গঠন ও সংরক্ষণে সহায়ক। এই ধরনের খাদ্য শরীরের কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন, মিনারেল, এবং কিছু ভিটামিন সাধারণত দেহ সংরক্ষক খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ধরনের খাদ্য দেহের ক্ষয় রোধ করে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, এবং দুধ দেহ সংরক্ষক খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত খাবার।

দেহ পরিশোষক খাদ্য কাকে বলে– যে সকল খাদ্য শরীরকে ভেতর থেকে পরিশোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে রক্ত পরিষ্কার করতে এবং যকৃত ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সর্বোচ্চ সাহায্য করতে পারে সেগুলোই হচ্ছে দেহ পরিশোষক  খাদ্য। এমনকি এটাও বলা হয় যেসব খাদ্য দেহের গঠন বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনের সাহায্যকারী তারাই দেহ পরিশোষক খাদ্য। যেমন ধরুন– শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, আমিষ বা প্রোটিন স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট। 

আর হ্যাঁ, আপনি যদি দেহ পরিশোষক খাবারের মধ্যে বিশেষ কিছু খাবারের নাম জানতে চান তাহলে বলব– আখরোট এবং বাদাম, সবুজ শাকসবজি, গ্রিন টি, রসুন, লেবু আদা হচ্ছে দেহ পরিশোষক খাদ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। 

আবার হ্যাঁ, আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন– খাদ্যের প্রকারভেদ হিসেবে মূলত খাদ্যকে বড় দুইটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। আর তাই বলা হয়ে থাকে খাদ্যের আরও অন্যান্য দুইটি প্রকারভেদ হলো–

  • উদ্ভিজ্জ খাদ্য এবং 
  • প্রাণিজ খাদ্য 

উদ্ভিজ্জ খাদ্য– উদ্ভিজ্জ খাদ্য বলতে এমন খাদ্যকে বোঝায় যা উদ্ভিদের উৎস থেকে প্রাপ্ত হয়। এর মধ্যে শাক-সবজি, ফল, শস্য, ডাল, বাদাম, বীজ, শাকপাতা, আপেল, কলা, আম আঙ্গুর, ভুট্টা গম জব এবং উদ্ভিদের অন্যান্য খাদ্য পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদ্ভিজ্জ খাদ্য প্রধানত নিরামিষভোজী বা ভেগান খাদ্যাভ্যাসে ব্যবহৃত হয়, যেখানে প্রাণীজ খাদ্য পরিহার করা হয়। 

প্রাণিজ খাদ্য– প্রাণিজ খাদ্য বলতে সেই সব খাদ্যকে বোঝায়, যা প্রাণীজ উৎপত্তির হয় অর্থাৎ, প্রাণী থেকে প্রাপ্ত খাদ্য উপাদানগুলো প্রাণিজ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত । এর মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য (যেমন পনির, মাখন, ঘি ইত্যাদি)। প্রাণিজ খাদ্যে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। যেগুলো প্রত্যেকটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। 

যাইহোক, খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়টি ক্লিয়ার। এখন জেনে নিন খাদ্যের উপাদান সমূহ এবং তার উৎস সেই সাথে খাদ্যের পুষ্টিগুণ ও কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত। 

খাদ্যের উপাদান সমূহ | খাদ্যের প্রধান উপাদান ও তার উৎস

খাদ্য কাকে বলে, খাদ্য কত প্রকার ও কি কি,

খাদ্যে মোট ছয়টি উপাদান বিদ্যমান। সেগুলো হলো –

  • শর্করা 
  • আমিষ 
  • স্নেহ পদার্থ 
  • ভিটামিন 
  • খনিজ লবণ এবং 
  • পানি 

১. শর্করা

সরকারকে ইংরেজিতে বলা হয় কার্বোহাইড্রেট। যেটা আমাদের শরীরের অন্যতম একটি শক্তির উৎস। সরকারকে বলা হয়ে থাকে জৈব যৌগ, যেটা কার্বন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন এর সমান বয়ে তৈরি। আপনি যদি শর্করা নিয়ে অনুসন্ধান করেন তাহলে জানতে পারবেন এটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যা শরীরের নানাবিধ কাজে ভূমিকা রাখে। 

দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে তাপ শক্তি উৎপাদন, খাদ্য হজমের সহায়তা প্রদান এর কাজগুলো করে থাকে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা। জানলে অবাক হবেন গ্লাইকোজেন যকৃত ও পেশীতে সজ্জিত থাকে, যা প্রয়োজনের সময় গ্লুকোজে পরিণত হয়ে দেহে অতিরিক্ত তাপ শক্তি উৎপাদন করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। আর এই কার্যপ্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য শর্করা সর্বোচ্চভাবে সাহায্য করে।  

আর হ্যাঁ, সরকারের মাঝেও আবার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন– মনোস্যাকারাইড, ডাইস্যাকারাইড এবং পলিস্যাকারাইড। গ্লুকোজ, গ্যালাকটোজ এবং ফ্রুকটোজ জাতীয় খাবারগুলোতে এছাড়াও ফলমূল শাকসবজি এবং মধুতে থেকে থাকে মনোস্যাকারাইড শর্করা। অন্যদিকে আলু, ভাত বিভিন্ন শস্যদানা সেলুলোজ জাতীয় উদ্ভিদে বিদ্যমান থাকে পলিস্যাকারাইড আর ল্যাকটোজ, মেলটোজ ইত্যাদি এইসব উপাদানের বিদ্যমান থাকে ডাইস্যাকারাইড। 

২. আমিষ

যাকে বলা হয় প্রোটিন। আমিষ হচ্ছে টেপ টাইপ বন্ধন দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত অ্যামিনো এসিডের পলিমার শৃঙ্খল, যা আমাদের শরীরের কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, পেশির গঠন মেরামত করে, হাত ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে হরমোন ও এনজাইম তৈরি করে। এছাড়াও আমিষ বা প্রোটিনের রয়েছে একাধিক উপকারিতা। 

আর তাই শাব্দিক বিবেচনা করে প্রোটিন কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। আপনি যদি গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে অনুসন্ধান করেন তাহলে জানতে পারবেন– যে সব প্রোটিন অন্য কোন উপাদানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে না, তাদের সরল প্রোটিন বলে। উদাহরণ হলো – অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন, প্রোটমিন, হিস্টোন, গ্লায়াডিন, গ্লুটেলিন ইত্যাদি। 

অন্যদিকে সরল প্রোটিন যখন অন্য কোন উপাদানের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন তাদের সংযুক্ত প্রোটিন বলে। যেমন–  হিমোগ্লোবিন, হিমোসায়ানিন, ফসফোপ্রোটিন, লাইপোপ্রোটিন ইত্যাদি। আরেকটি প্রোটিন রয়েছে যা পরিপাক নালীতে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাকের সময় উদ্ভূত হয়, তাদের লব্ধ প্রোটিন বলে। যেমন পেপটন, পেপটাইড ইত্যাদি।

৩. স্নেহ

খাদ্যের আরো একটি প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী একটি পুষ্টি উপাদান স্নেহ পদার্থ। যেটা কার্বন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত। স্নেহ কে ফ্যাট বলেও আখ্যায়িত করা হয়। মূলত এই পুষ্টি উপাদানের কাজ হচ্ছে শরীরের শক্তির সরবরাহ করা, দেহের অঙ্গ গুলোকে রক্ষা করা, কোষের ঝিলি তৈরি করা এবং হরমোন তৈরিতে সাহায্য করা। 

আর উৎস অনুযায়ী এই স্নেহ পদার্থকে মূলত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। সেগুলোর একটি হচ্ছে উদ্ভিজ্জ স্নেহ অন্যটি প্রাণিজ স্নেহ। স্নেহের অন্তর্ভুক্ত খাদ্যপণ্যগুলো হলো – সয়াবিন সরিষা তেলবাদাম সূর্যমুখী এবং ভুট্টার তেল। আর প্রাণিজ স্নেহ পদার্থের অন্তর্ভুক্ত খাদ্য পণ্যগুলো হচ্ছে ডিমের কুসুম। 

৪. ভিটামিন

খাদ্যের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে ভিটামিন। আর ভিটামিনের কাজ হচ্ছে ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখা, স্নায়ু ও পেশির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখা, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিকঠাক রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরে কোষের বৃদ্ধি ও মেরামতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা। আর তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস,তেল, বাদাম, ঢেঁকিছাটা চাল, লাল আটা, ছোলা, মুগ, পালংশাক, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেবু, আম, আমলকি, আপেল ইত্যাদি খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। 

৫. খনিজ লবণ

খাদ্য তে বিদ্যমান এই পুষ্টি উপাদানকে বলা হয় অযোগ্য খাদ্য উপাদান। মূলত আমাদের শরীরের জন্য খনিজ লবণের রয়েছে একাধিক উপকার।  খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দিলে হার ও দাঁতের স্বাস্থ্য খারাপ হয়, স্নায়ু ও পেশীর কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, লৌহ রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হয় হরমোন ও এনজাইম সঠিক মাত্রায় তৈরি হতে পারে না। আর তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং পরিণত পরিমাণে খনিজ লবণ গ্রহণ করতে হয় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের। এর জন্য সাধারণত মেক্রো মিনারেল এবং ট্রেস মিনারেল জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। 

৬. পানি

পানি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। কেননা পানি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। হ্যাঁ বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু অন্যান্য খাদ্য বস্তু থেকেও পানির প্রয়োজন কিছুটা ভিন্ন।

📌 আরো পড়ুন 👇

কেননা দৈহিক ওজনের 60 থেকে 70 অংশ শুধুমাত্র পানি দ্বারা গঠিত। আর তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অবশ্যই অন্য পুষ্টি গুলো পরিণত পরিমাণে গ্রহণ না করলেও অন্তত পানি গ্রহণ করা জরুরী। তাই নিয়মিত সঠিক নিয়ম মেনে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

খাদ্য সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর

খাদ্যের কাজ ও খাদ্যের পুষ্টিগুণ কি কি?

খাদ্যে সাধারণত আমিষ শর্করা ভিটামিন খনিজ লবণ পানি এবং স্নেহ এই পুষ্টিগুণ গুলো বিদ্যমান থাকে। আর খাদ্যের কাজ হচ্ছে দেহকে সকল ধরনের রোগের হাত থেকে বাঁচতে সর্বোচ্চ প্রোটেকশন যোগানো এবং বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদনে সাহায্য করা। 

খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা কি?

খাদ্য খাবার ফলে আমাদের দেহের ভেতরের এবং বাহিরের কার্যপ্রক্রিয়া গুলো চলমান থাকে, আমরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারি আর এ কারণে খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর আপনি যদি ইতোমধ্যে আমাদের এই আলোচনাটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে উপকারিতার বিষয়টি আপনি নিজেই উপলব্ধি করবেন। 

খাদ্যের কাজ কয়টি ও কি কি?

খাদ্য মূলত একাধিক কাজ সম্পাদন করে থাকে। যেমন–
দেহ গঠন, শরীরে তাপ উৎপাদন এবং কর্মশক্তি প্রদান, দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি সাধন এবং 
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি। 

খাদ্য ও পুষ্টি কাকে বলে?

মানুষ ও অন্যান্য জীব যা খেয়ে জীবন ধারণ করে, তাকে খাদ্য বলে। যে প্রক্রিয়ায় জীবদেহে খাদ্য পরিপাক ও পরিশোধিত হয়ে দেহের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে, দেহের প্রবৃদ্ধি সাধন, রক্ষণাবেক্ষণ ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে, তাকেই পরিপুষ্টি বা পুষ্টি বলে।

খাদ্য সম্পর্কে আমাদের মতামত

খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই নিয়েছিল আমাদের আজকের আলোচনা। যেহেতু সঠিক খাদ্য অভ্যাস এবং খাদ্য বিদ্যমান প্রত্যেকটি পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই সঠিক মাত্রায় খাবার গ্রহণ করুন। খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকুন।

খাদ্য সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Sharing is Caring

Leave a Comment