পরিবেশ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি, গুরুত্ব

5/5 - (1 vote)

জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদানের সমন্বয়স্থল হিসেবে ধরা হয় এবং যেখানে জীবের অস্তিত্ব ও উন্নতি নির্ভর করে, এমন স্থানকে বা এমন জায়গাকেই পরিবেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণত প্রতিটি জিনিসই কোনো না কোনো পরিবেশে বেড়ে ওঠে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে এটা বুঝতে পারবেন– একটি জীবের বা একটা প্রাণীর বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবেশের ভূমিকা অপরিসীম। 

পরিবেশ যদি বসবাসের উপযুক্ত না হয় তাহলে কখনোই সেই পরিবেশে প্রাণীকুল বা জীবের অস্তিত্ব থাকে না। এজন্যইতো পৃথিবী হচ্ছে মানুষের জন্য সর্বোত্তম পরিবেশ। এছাড়াও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি গ্রহের নিজ নিজ আলাদা পরিবেশ রয়েছে।

আজকের আর্টিকেলে পরিবেশ কি, পরিবেশ কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি পাশাপাশি পরিবেশের বিভিন্ন সংজ্ঞা সম্পর্কে অবগত হবেন। এছাড়াও পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

পরিবেশ কাকে বলে

পরিবেশের কাকে বলে, পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি, পরিবেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়,

পরিবেশ বলতে পরিবেষ্টনকারী পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে বোঝায়। অতএব পরিবেশ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে আমরা সবাই একত্রে বসবাস করতে পারি এবং সেখানে জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বা উপযোগী সকল উপাদান বিদ্যমান। 

সহজ কথায় পরিবেশকে যদি সংজ্ঞায়িত করতে চান তাহলে বলতে পারেন– “আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সবকিছু মিলিয়েই আমাদের পরিবেশ”। এভাবেও বলা যায়– পরিবেশ হচ্ছে এমন একটি কাঠামো যেখানে মানুষ সহ সকল জীব তাদের জীবন যাপন করে এবং যার সঙ্গে তারা পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে, পরিবেশ হচ্ছে জীবনের প্রাকৃতিক ও সামাজিক উপাদানের সম্মিলিত রূপ, যা জীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

সত্যি বলতে, পরিবেশ মানব জীবনের অন্যতম মৌলিক একটি অংশ। এটি কেবলমাত্র প্রাকৃতিক বা সামাজিক উপাদান নয়। বরং মানুষ, উদ্ভিদ এবং অন্যান্য জীবের জীবনযাত্রার একটি ভিত্তি। পরিবেশ শব্দটি ব্যাখ্যা করে আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুকে, যা আমাদের জীবনধারণ, উন্নয়ন এবং জীবনকে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে প্রয়োজন। 

পরিবেশের সংজ্ঞা 

বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন পর্যালোচনা ও গবেষণার পর পরিবেশকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। একেক জন বিজ্ঞানী এক এক ভাবে পরিবেশকে তুলে ধরেছেন সকলের সামনে। যেমন:

  • বিজ্ঞানী মাসটন বেটস বলেছেন: পরিবেশ হলো সেসব বাহ্যিক অবস্থার সমষ্টি যা জীবনের বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
  • বিজ্ঞানী মারকিউস এবং উডওয়ার্থ এর মতে: জীবন শুরু হওয়ার পর ব্যক্তির ওপর বাহিরের যা কিছু সক্রিয় হয় তাই হল পরিবেশ।
  • মনোবিজ্ঞানী বোরিং লংফিল্ড এবং ওয়েলড এর মতে: জিন ব্যতীত ব্যক্তির উপর যা কিছুর প্রভাব দেখা যায় তাই হলো পরিবেশ।

এছাড়াও ইউএনইপি এর সংজ্ঞা অনুসারে বলা হয়ে থাকে পরিবেশ বলতে পরস্পর ক্রিয়াশীল উপাদান গুলোর মাধ্যমে গড়ে ওঠা সেই প্রাকৃতিক ও জীব মণ্ডলির প্রণালীকে বোঝায় যার মধ্যে মানুষ ও অন্যান্য সজীব উপাদান গুলো বেঁচে থাকে, বসবাস করে।

পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি

পরিবেশ কাকে বলে এটা আমরা জেনেছি, কিন্তু পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি! সাধারণত পরিবেশের উপাদান গুলোর উপর ভিত্তি করে পরিবেশকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো:

  • ভৌত পরিবেশ 
  • কৃত্রিম পরিবেশ 

নিম্নে ভৌত কৃত্রিম পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ভৌত পরিবেশ

পরিবেশের কাকে বলে, পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি, পরিবেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়,

সাধারণত আমাদের চারপাশে প্রাকৃতিক যেসব উপাদান রয়েছে সেসব উপাদান নিয়ে প্রাকৃতিক ভৌত পরিবেশ গঠিত। অতএব ভৌত পরিবেশ বলতে পৃথিবীর চারপাশের সেই সমস্ত উপাদান বা অবস্থাকে বোঝায়, যা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান এবং যা জীবের জীবনের উপর সরাসরি বা পরোক্ষ প্রভাব ফেলে।

এরমধ্যে রয়েছে– মাটি, পানি, বায়ু, জলবায়ু, পাহাড় সমুদ্র নদী, গাছ গাছালি সহ প্রভৃতি। যেগুলো ভৌত পরিবেশ এ থাকা জীব বৈচিত্র কে প্রভাবিত করে এবং জীবদের বাসস্থান ও জীবন ধারণের উপযোগী করতে সহযোগিতা করে পরিবেশকে। 

২. কৃত্রিম পরিবেশ

পরিবেশের কাকে বলে, পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি, পরিবেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়,

এই পরিবেশকে সামাজিক পরিবেশও বলা হয়। সাধারণত যে পরিবেশ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নয় যে পরিবেশ মানুষ সৃষ্টি করেছে তাই হচ্ছে সামাজিক বা কৃত্রিম পরিবেশ। এছাড়াও বলতে পারেন কৃত্রিম পরিবেশ হলো একটি মানব-নির্মিত পরিবেশ, যা মানুষের হাতে গঠিত হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নয়। এই ধরনের পরিবেশ সাধারণত প্রকৃতির পরিবেশ থেকে আলাদা হয়ে থাকে এবং মানুষের প্রয়োজন বা সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়। 

উদাহরণস্বরূপ, শহরের ভবন, রাস্তা-ঘাট, উদ্যান, এবং অন্য যে কোনো অবকাঠামো কৃত্রিম পরিবেশের অন্তর্গত। এটি এমন একটি স্থান হতে পারে যেখানে মানুষ আবহাওয়া, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন: গবেষণাগার, গ্রিনহাউজ বা কোনো সিমুলেটেড ভার্চুয়াল পরিবেশ। 

পরিবেশের উপাদান কয়টি ও কি কি

আশা করি পরিবেশ কাকে বলে এই নিয়ে আমরা যে ব্যাখ্যা বা সংখ্যাগুলো উল্লেখ করেছি এরপর আপনি খুব সহজেই পরিবেশে কি কি উপাদান রয়েছে তা আন্দাজ করতে পারছেন।

যাইহোক যদি কখনো প্রশ্ন করা হয় পরিবেশের উপাদান কয়টি ও কি কি এবং পরিবেশের উপাদান গুলোকে প্রধান কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়, তাহলে এক কথায় উত্তর দেবেন– পরিবেশের উপাদান গুলোকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–

  • জীব এবং 
  • জড়বস্তু। 

অন্য দিকে  পরিবেশের মূল উপাদান সমূহ তিনটি। সেগুলো হলো–

  • মাটি, পানি, বায়ু, আবহাওয়া ও জলবায়ু 
  • জীবজন্তু, বৃক্ষরাজি 
  • সামাজিক জনসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি। 

পরিবেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

জীব কুল এবং প্রাণিকূল উভয়ের জন্যই পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা পরিবেশ আমাদের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে, যার ফলে আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেক বেশি সহজ সরল হয়। এছাড়াও প্রকৃতিগত পরিবেশ থেকে আমরা এমন অনেক উপকারী জিনিস পাই যেটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। যেমন– অক্সিজেন। 

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে মানব জীবনের সাথে পরিবেশ অনাঙ্গেভাবে জড়িত এবং জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পরিবেশ আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে। নিঃসন্দেহে এটা বলতে পারা যায় আমাদের বেঁচে থাকার মূল ভিত্তি হচ্ছে পরিবেশ। কিন্তু সেটা অবশ্যই হতে হবে সুস্থ পরিবেশ। দূষিত পরিবেশ অসুস্থ পরিবেশ কোন প্রজাতি বা কোন প্রাণীকে টিকে রাখতে পারেনা। আর তাই পরিবেশ সংরক্ষণ করা জরুরী পাশাপাশি সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের গুরুত্ব অবগত হওয়া প্রয়োজন। তাই নিচের কয়েকটি পয়েন্ট মনোযোগ সহকারে দেখুন। 

  • বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছু যোগান দিয়ে থাকে পরিবেশ 
  • প্রাণ ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে পরিবেশ 
  • প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে পরিবেশ 
  • সুস্থ পরিবেশ জীব বৈচিত্র কে রক্ষা করে যুগের পর যুগ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ এ সহায়ক ভূমিকা রাখে 
  • পৃথিবীতে জীবন নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে পরিবেশ।

এর বাহিরেও পরিবেশের রয়েছে নানা কার্যকারিতা বা নানা উপকারিতা। পরিবেশের সুবিধা সমূহ যদি আপনি আলাদাভাবে জানতে চান তাহলে বলবো–

  • পরিবেশ আছে বলেই আমরা জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাই। 
  • দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন পানি, জ্বালানি বা খনিজ উপাদান সবকিছুই পাওয়া সম্ভব হয় পরিবেশের কারণে। 
  • সুস্থ পরিবেশের কারণেই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় সেই সাথে মানসিক প্রশান্তি মেলে। 
  • সুস্থ ও সুন্দর নিরাপদ পরিবেশ প্রাকৃতিক সভা বৃদ্ধি করে সে সাথে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানে সাহায্য করে। 

 ঠিক এই কারণগুলোর জন্যই পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম বলে আখ্যায়িত করা হয় আর আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরিবেশকে রক্ষার্থে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। তাই আলোচনার এ পর্যায়ে পরিবেশ রক্ষার উপায় বা পরিবেশকে সংরক্ষণে করণীয় কাজ নিয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব।

পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় 

পরিবেশের কাকে বলে, পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি, পরিবেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়,

পরিবেশ সংরক্ষণ করা একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কেননা সুস্থ পরিবেশ আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখবে। তাই আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে যেভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি এমন কিছু করনীয় কাজগুলো হলো –

গাছ লাগানো

গাছ আমাদের পরিবেশে ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই সেইসাথে গাছ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণ করে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। যেটা পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। এর ফলে বায়ু দূষণ কম হয় পাশাপাশি জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়।।

তাই পরিবেশ রক্ষার্থে সর্বপ্রথম করণীয় কাজ হচ্ছে গাছ কাটা প্রতিরোধ এবং গাছ লাগানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।

পানি সংরক্ষণ

পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার্থে। পানির অপর নাম জীবন, এটা আমরা সবাই জানি। এর জন্য পানির অপচয় রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং পানি দূষণ প্রতিরোধে করণীয় কাজগুলো করার উদ্দেশ্যে সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একটি অন্যতম উপায়। 

বায়ু দূষণ প্রতিরোধ

মাটি পানি বায়ু পরিবেশের তিনটি প্রধান উপাদান। যেগুলোর যেকোনো একটি দূষণ হলে ভারসাম্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাই বায়ু দূষণ প্রতিরোধে শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত বায়ু দূষণ কমানোর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার ধূমপান নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহনের ধরা পরিশোধন করার ব্যবস্থা চালু করা জরুরী। 

📌 আরো পড়ুন 👇

এছাড়াও পরিবেশ সংরক্ষণের নানাবিধ উপায় বা পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলো আপনি একটু চিন্তা করলেই পেয়ে যাবেন। আর হ্যাঁ, অনেকেই পরিবেশকে কেন্দ্র করে এর বাহিরেও বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন। এজন্য আলোচনা শেষ পর্যায়ে আমরা কিছু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

পরিবেশ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর

পরিবেশ এর অর্থ কি? 

পরিবেশ এর অর্থ চারপাশের অবস্থা। অর্থাৎ আমাদের চারপাশের প্রকৃতি এবং সামগ্রিক অবস্থাই হচ্ছে পরিবেশ। 

পারিপার্শ্বিক পরিবেশ কি? 

পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বলতে কোন নির্দিষ্ট স্থান ব্রাজিলের চারপাশে থাকা প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট উপাদানের সমষ্টিকে বোঝায়। 

পরিবেশের ভূমিকা কি? 

পরিবেশের কারণে জীব কূল এবং পানিকুল সেই সাথে পৃথিবীর ভারসাম্য সঠিকভাবে বিরাজ করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন পরিবেশের ভূমিকা ঠিক কতটুকু প্রভাব বিস্তারকারী! 

পরিবেশ দূষণ কি?

পরিবেশ দূষণ বলতে এমন ক্ষতিকর পদার্থ বা উপাদানের উপস্থিতিকে বোঝায় যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং জীবের জীবনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। 

জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে পরিবেশকে প্রবাহিত করে? 

জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে সাধারণত যেভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা হচ্ছে– গ্রীন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধি অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি, তোমাদের পিকচারের উচ্চতা বৃদ্ধি খরা ও বন্যা। 

পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের মতামত

উপরের আলোচনা থেকে এটা বোঝা যায় পরিবেশ আমাদের জীবনের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। আশা করছি পরিবেশ কাকে বলে এবং এর প্রকারভেদ সেই সাথে এর গুরুত্ব নিয়ে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তাই নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে আসুন আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে এগিয়ে আসি। 

পরিবেশ সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Sharing is Caring

Leave a Comment